২০ টি দারুন Android Customization Tips, Tricks & Hacks!

আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি মহান আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালোই আছেন।

Android Tips & Tricks নিয়ে তেমন পোস্ট করা হয়নি আমার দ্বারা। তাই ভাবলাম এটা নিয়ে একটি পোস্ট করেই ফেলি।

আজ থেকে কয়েক বছর আগেও Trickbd থেকে শুরু করে YouTube, Facebook সব জায়গাতেই Android User রা প্রচুর Customization, Tricks ব্যবহার করতো।

কিন্তু এখন আর এগুলো করতে খুব একটা দেখা যায়না। কারন এখন Android এ অনেক ভালো ভালো Feature দেওয়াই থাকে।

তবুও এমন অনেক ফিচারই রয়েছে যেগুলো Hidden থাকে, নয়তোবা অনেকেই এগুলো সম্পর্কে জানে না।
এমনই ২০ টি android customization tips & tricks নিয়ে হাজির হলাম।

বিশেষ করে যারা জানেন না তাদের জন্যেই পোস্টটি করা। আর যারা জানেন তারা Ignore করেন। আমার কোনো সমস্যা নেই।

আমরা সবাই জানি Android এ ব্যবহার করার জন্য প্রচুর Tricks আছে। সেটা যে কারনেই ব্যবহার করা হোক না কেন। Android এ যেসব Features আছে তা নিয়ে নিয়ে বই লেখা যাবে তবুও শেষ করা যাবে না।
ইউটিউবে এ নিয়ে প্রচুর ভিডিও আছে।

এই পোস্টে যা আপনার এন্ড্রয়েড ব্যবহার করার স্বাদ আরো বাড়িয়ে দিবে। আমি জানি এই মুহূর্তে যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা বেশিরভাগই অবশ্যই কোনো না কোনো এন্ড্রয়েড ব্যবহার করছেন।

কারন আমাদের দেশে এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর সংখ্যাই বেশি। আপনি যেমন ইউজার (ব্যবহারকারী) হোন না কেন এই ট্রিকসগুলো আপনার ভালো লাগবে বলে আশা করছি।

যাই হোক, তো চলুন এবার শুরু করা যাক আর কথা না বাড়িয়ে।

 

01. Chrome Flags :

আপনি যদি Google chrome/brave/kiwi এসব browser এর search bar এ গিয়ে chrome://flags এই লিখাটা টাইপ করেন তবে আপনি কিছু Experimental features পাবেন যার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের chrome/brave/kiwi type এর ব্রাউজারগুলো আরো বেশি ফিচারের নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

কয়েকটি Chrome flags এর নাম ও তাদের কাজ বলছি। আপনারা চাইলে আমি এ নিয়ে আলাদা একটি পোস্ট লিখতে পারি যেখানে এরকম আরো অনেকগুলো Chrome flags নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো আর তাদের কাজগুলো সম্পর্কেও আপনাদের সুন্দর ধারনা দিতে পারবো।

আমি অনেকগুলো Chrome flags on করে রেখে ব্রাউজার ব্যবহার করি। আর এতে ব্রাউজিং করার আসল মজাটা উপভোগ করতে পারি। আপনারাও চাইলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন Chrome এর এই ফিচারটি। কিছু Chrome flags এর বর্ননাঃ

#1) parallel downloading : এই flags টি enable করলে আপনারা আপনাদের ডাউনলোড স্পিড বাড়াতে পারবেন। এর কথা তো অনেকেই শুনেছেন। তাই না? যারা জানেন না তারা এই flags টি enable করে দেখতে পারেন।

#2) Smooth scrolling : যারা scroll করার সময় একটু ঝামেলা অনুভব করেন তাদের জন্য এই ফিচারটি। যদি scroll করার সময় একটু laggy অনুভব হয় তারা এই flags টি enable করে দেখতে পারেন। আমি ব্যবহার করি। আমার কাছে scrolling এ এখন সেই lag টা অনুভব হয় না।

#3) incognito screenshot : এই flags টির মাধ্যমে আপনারা incognito mode এ গিয়েও screenshot তুলতে পারবেন।

#4) Playback speed button : অনেকেই chrome এ এই ফিচারটিকে অনেক প্রয়োজনীয় মনে করেন কিন্তু এটা default ভাবে দেওয়া থাকে না। এই Flags টি enable করার মাধ্যমে আপনারা যখনই কোনো ভিডিও স্ট্রিমিং করবেন তখনই স্পিড বাড়ানো কমানোর option পাবেন যা সচরাচর সব ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় না

এছাড়াও এমন প্রচুর flags আছে যা আপনাকে ব্রাউজিং করার ক্ষেত্রে ভিন্ন রকমের স্বাদ দিবে।

 

02. Assistant Menu :

এটা বেশিরভাগ Samsung Phone এই আপনারা পেয়ে যাবেন Default ভাবে। Settings এ গিয়ে Assistant Menu লিখে search দিলেই পেয়ে যাবেন।

নয়তোবা Settings এ গিয়ে Accessibility তে যান। এরপর Dexterity and interaction এ যান। এরপরই Assistant Menu পেয়ে যাবেন।

এই Assistant Menu এর কাজ কি?

এটি মূলত একটি Floating bar। এমন অনেক App ও Playstore এ আছে। Floating apps বা Floating Window লিখে search দিলেই পেয়ে যাবেন।

বেশিরভাগ মানুষই Assistive Touch App টি ব্যবহার করে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই জানে না Samsung এর Android Phone গুলোতে এটা Default ভাবেই দেওয়া থাকে।

এই Assistant Menu এর মাধ্যমে আপনারা অনেক কাজই সহজেই করতে পারবেন। কি কি সুবিধা পাবেন?

১) আপনারা এখানে Cursor অথবা Mouse এর Option পাবে যার মাধ্যমে আপনারা আলাদা একটি mousepad ও cursor পাবেন।

আপনার যদি বড় ফোন বা ট্যাব হয় তবে আপনি আপনার ফোনকে কম্পিউটার এর মতো করে ব্যবহার করতে পারবেন Curson ও mousepad এর মাধ্যমে।

২) Screenshots তুলতে পারবেন যা Samsung এর Device গুলোতে দেওয়া থাকে না। বিশেষ করে পুরোনো J5,J2,J7 এরকম Device গুলোতে।

আপনাকে স্ক্রিনশট তোলার জন্য বার বার Power key ও Home key চেপে ধরে রাখতে হবে না। এই Floating window তেই পেয়ে যাবেন সে option

৩) আপনার মোবাইলের যদি Back/Recent/Volume button/Home button কিংবা Power button নষ্ট হয়ে যায় তবে এই Floating bar টি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে এই কাজগুলো করতে।

বুঝতেই পারছেন দারুন একটা ট্রিক। এটা সবাই জানে না। আপনি জানলে অন্যদেরকে জানতে সাহায্য করুন। Third Party Apps থেকে বিরত থাকুন যতক্ষন আপনার ফোনেই Third party apps এর feature গুলো Default ভাবেই দেওয়া আছে।

এর Alternative হিসেবে আপনি আপনার ফোনে Assistive Touch App টি ব্যবহার করতে পারেন (Google Play Store এ পেয়ে যাবেন)

 

03. Answering and Ending calls with home key or power key :

সবার ফোনেই এই Option টা আছে কি না জানি না। তবে অনেক ফোনেই এই Option টা আমি পেয়েছি। একটু বিস্তারিত বলি। এই Option টির কাজ হচ্ছে আপনার ফোনের Home button কিংবা Power Button এ Click করে কোনো Call আসলে তা Receive করতে পারবেন।

অনেকে তাড়াহুড়োর সময় কল ধরতে দিয়ে অনেক সময় কলটি কেটে দেন এবং এতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এই দুটির মধ্যে যেকোনো একটি কিংবা দুটি Option ই যদি আপনি On করে দেন তবে সে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

কল আসলে আপনার Power button কিংবা home button টিতে একটি চাপ দিবেন আর সাথে সাথে কলটি Receive হয়ে যাবে।

Call end করার জন্যেও এই দুটি button কে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে এর জন্যে সে Option টি settings থেকে On করতে হবে।

যাদের এই Option টি ফোনে নেই তারা এমন App Playstore এ পেয়ে যাবেন।

 

04. High Contrast Fonts :

এটা সব Android এই দেওয়া থাকে Default ভাবে। আপনি Settings এ গিয়ে Accessibility তে গেলেই পেয়ে যাবেন। অনেক সময় এটা Developer options এও দেওয়া থাকে।

Developer option টি পাওয়ার জন্য আপনার Settings এ গিয়ে About Phone e গিয়ে Build Number এ ১০ বারের মতো একসাথে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন। প্রত্যেক ফোনে আলাদা আলাদা জায়গায় দেওয়া থাকে।

যাই হোক, এই Option টি তারা ব্যবহার করবেন যাদের চোখে একটু সমস্যা আছে বা চশমা ছাড়া চোখে লিখাগুলো ঝাপসা বোঝা যায়।

আপনার যদি এমন সমস্যা না থাকে তবে আপনার চেনা জানা কেউ (হতে পারে আপনার বাবা-মা কিংবা কাছের কেউ) থাকলে তাদেরকে এই Option টি enable করে দিবেন। তারা লিখাগুলো স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারবে।

 

05. Magnification Gestures :

আমি জানি অনেকেই আমার মতো ছোটবেলায় এই Option টি Enable করে অনেক সমস্যায় হয়তো ভুগেছেন 😁😁। কিন্তু এর আসল কাজ কি?

তার আগে বলে দেই এই Option টির কাজ কি। এর কাজ হচ্ছে স্ক্রিনের যেকোনো অংশে দুইবার ট্যাপ করলে জুম করা। আবার দুইবার ট্যাপ করলে জুম হওয়া হতে বেরিয়ে আসা।

অনেক সময় এমন Apps আমরা ব্যবহার করি যেগুলোতে জুম করার ফিচারটি নেই। কিংবা অনেক সময় ছোট লিখা বুঝা যায় না। এই Option টি Enable করার মাধ্যমে আপনারা স্ক্রিনের যেকোনো স্থানে জুম করতে পারবেন।

এটি পাবেন Accessibility তে।

 

06. App Permissions :

আমি জানি অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না। যেকোনো App ইন্সটল করার আগেই কোনো কিছু না দেখে না শুনে যা যা Permission চায় সব Enable করে দেন।

এটি করা মোটেই উচিত না। কারন আপনার Microphone কিংবা Camera এর permission নিয়ে যেকোনো App আপনার কথাবার্তা কিংবা আপনার ভিডিও করে গোপনে এসব তথু কালেক্ট করে নেয়। তাই যেন তেন App কে আপনার Permission দিতে বিরত থাকুন।

আপনি যেসব App কে যে যে Permission গুলো দিয়েছেন এটা দেখতে আপনি Settings এ গিয়ে App permissions কিংবা permission লিখে search দিন।

এরপর যেসব Apps এ আপনার মনে হয় এই এই permission গুলোর কোনোই প্রয়োজন নেই সেগুলো disable করে দিন। যেমনঃ camera, location, microphone ইত্যাদি।

 

07. Owner Information :

আচ্ছা মনে করুন আপনি কোনো এক দূর্ঘটনায় পড়লেন কিংবা আপনার ফোনটি রাস্তায় কোথাও হারিয়ে গেল।

সে মূহূর্তে যদি কোনো স্বহৃদয়বান ব্যক্তি যদি আপনার ফোনটি আপনাকে ফেরত দিতে চায় তবে সে আপনার ঠিকানা কিভাবে পাবে। এই Setting টির মাধ্যমে আপনি আপনার Home screen কিংবা Lockscreen এ ছোট্ট করে আপনার নাম, নাম্বার ও ঠিকানাটি লিখে রাখবেন।

যদি এমন কোনো সমস্যায় পড়ে যান তবে যদি ভাগ্য ভালো থাকে তবে আপনার এই ছোট্ট ইনফরমেনশনটি আপনার জীবন বাচিয়ে দিতে কিংবা আপনার হারানো ফোনটি পেতে আপনাকে সাহায্য করবে।

Settings এ গিয়ে আপনি Owner information লিখে search দিলেই পেয়ে যাবেন এই Option টি।

 

08. Cached Data :

অনেকেই দেখবেন আপনার ফোনের স্টোরেজ কোনো কারন ছাড়াই ফুল হয়ে যাচ্ছে। আপনি কোনো কিছু ডাউনলোড না করা সত্তেও এমনটা হচ্ছে।

আপনি যদি Storage এ গিয়ে Cached Data তে যান তবেই বুঝতে পারবেন আপনার ফোনের স্টোরেজ কেন বা কোথা থেকে ফুল হচ্ছে।

এর সমাধান কি?

এর সমাধান হচ্ছে আপনি Cached Data clear করে দিন। আবার পুনরায় Cached Data জমলে আবার clear করে দিবেন। চিন্তা করবেন না এতে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোনো ডেটাই লস হবে না।

বেশি সন্দেহ থাকলে আপনার ডেটা কোনো মেমোরি কার্ড বা কোনো ক্লাউড স্টোরেজ যেমনঃ Google Drive, Mega তে রেখে দিতে পারেন।

 

09. Developer options :

আমি জানি এ নিয়ে অনেক পোস্ট আছে। আর এ নিয়ে আলাদা একটি পোস্টও লেখা যাবে। তবে যে Option গুলো Enable না করলেই নয় সেগুলোর কথাই আমি বলছি।

#1) Running services : এখানে গিয়ে দেখতে পারবেন আপনার ফোনের Background এ কতটি App চলছে। আর সেগুলো আপনি নিজে নিজে এক এক করে বন্ধও করতে পারবেন।

#2) Animation scale :

আপনি একসাথে এমন তিনটি Option পাবেন যাদের নামঃ Window animation scale, Transition Animation Scale, Animator duration scale.

আমি যতবারই কোনো নতুন ফোন সেটআপ দিই তখনই এই তিনটি Option এই 0.5x দিয়ে রাখি যা default ভাবে 1x দেওয়া থাকে।

তবে এর কাজ কি?

এর কাজ হচ্ছে আপনার ফোনে কোনো নতুন App বা window যখন আপনি Open করেন তখনই একটি animation Effect দেখতে পান না? যেটি একটি ধীরগতির মনে হয়।

আপনি যখন 0.5x দিয়ে দিবেন তখনই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। অনেকেই চাইলে এটা off ও করে রাখতে পারবেন। 0.5x কিংবা off করে রাখার কারন হল এতে Animation গুলো খুবই দ্রুতভাবে কাজ করে।

আমি জানি অনেকেই এই সেটিংটি সম্পর্কে জানে। তবুও যারা জানেন না তাদের জন্যেই বলছি।

 

#3) limit background processes :

আপনি চাইলে আপনার ফোনের বেকগ্রাউন্ডে কতটি এপ্লিকেশন সর্বোচ্চ চলতে পারবে সেটির একটি লিমিট সেট করে দিতে পারবেন এই অপশনটির মাধ্যমে। যাদের Ram কম ফোনে তাদের উপকারে আসবে আশা করছি। তবে যারা heavy user বা যাদের ফোন ভালো তাদেরকে পরামর্শ দিবো এই অপশনটি না অন করতে।

 

10. Google Translate Conversation :

আমি জানি না অনেকেই জানে কি না যে গুগল ট্রান্সলেটে একটা ফিচার আছে যা আপনাকে অনেক সাহায্য করবে আপনার নিজের ভাষা ছাড়াও অন্য ভাষাকে বুঝতে।

আমি একটু বিস্তারিত বলছি।

Google Translate open করার পর নিচে একটি Option দেখতে পাবেন যেখানে একটি microphone দেওয়া আছে।

এখানে ক্লিক করে আপনি আপনার নিজের ভাষায় যা বলবেন তা-ই লিখা হয়ে যাবে এবং তা অন্য যেকোনো ভাষায় আপনি চাইলে Translate ও করতে পারবেন।

অনেকেই হয়তোবা জানেন আবার অনেকেই হয়তোবা জানেন না। যারা জানেন না তাদের জন্যে বলছি।

আপনি যদি অলস স্বভাবের মানুষ হয়ে থাকেন বেশি লিখলে হাত ব্যথা করে বা এমন কিছু তবে আপনি এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন।

এতে আপনার বিদেশি ভাষায় কথা বলার দক্ষতাও অনেকটাই উন্নত হবে এবং আপনি সঠিকভাবে উচ্চারন করতে পারছেন কি না সেটিও সুন্দরভাবে বুঝতে পারবেন।

 

11. Notification History Log :

এই কাজটি করার জন্যে একটি App আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। App এর লিংক আগে দিয়ে নিই পরে বিস্তারিত বলছি।

App name : Notification History Log

APP LINK :

1) https://ift.tt/rwHtysW

2) https://ift.tt/B26fAnT

3) https://ift.tt/Y62Wrcw

 

এই অ্যাপগুলোর কাজ হচ্ছে আপনার সব নোটিফিকেশনগুলো এক জায়গায় আবদ্ধ করে রাখা। মানে আপনার ফোনে যতগুলো নোটিফিকেশন আসবে সেগুলো আপনি যদি মিস করে কেটেও দেন তবুও কোন সমস্যা হবে না কেননা এই অ্যাপগুলো ( যে কোন একটা ব্যবহার করতে পারেন কোন সমস্যা নেই) আপনার নোটিফিকেশনগুলোকে সেভ করা রাখবে।

যতগুলো নোটিফিকেশন আপনার ফোনে আসবে সব আপনার ফোনে সেভ হয়ে থাকবে। যদি কোন নোটিফিকেশন মিস হয়ে যায় তবুও কোন সমস্যা নেই কেননা আপনি App এ ঢুকে আবার নোটিফিকেশন গুলো পুনরায় দেখতে পারবেন।

খুবই দরকারি একটি অ্যাপ বিশেষ করে তাদের জন্য যারা প্রতিদিন ফোনের নোটিফিকেশন চেক করেন কিংবা যাদের নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ থাকে।

 

12. Automatic Wallpaper changer :

এই কাজটি করার জন্য আমাদের আরও একটি অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজন পড়বে যার লিংক আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি।

App name : Tapet

App Link (Pro Mod Version) :

Tapet MOD APK 8.058.006 (Premium Activated)

এটি আমার One Of The Most Favorite App গুলোর মধ্যে একটি। এই App টিতে আপনি Unlimited Wallpapers পেয়ে যাবেন। App টির সাইজ ৫ Mb এর মতো।

এত ছোট App এও এত Wallpaper যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। App টি খুবই Optimized।

এপটির কিছু বৈশিষ্ঠ্য সম্পর্কে আপনাদের জানাই।

১) প্রথমত সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিকটি হচ্ছেঃ এপটি অফলাইন।

২)এই এপে আছে হাজার হাজার, লক্ষাধিক Wallpaper যা গুনে শেষ করা যাবে না।

৩) এই এপে অনেক Options আপনি পাবেন বিশেষ করে কাস্টমাইজেশনের জন্যে। যেমনঃ আপনি কত মিনিট বা ঘন্টা পরপর Wallpaper Change হবে সেটা সেট করতে পারবেন।

তাছাড়া আপনি Wallpaper Change, Save, Share, Colors chnage, pattern change, pattern property change, order change, slideshow সহ ইত্যাদি আরো অনেক অপশন পেয়ে যাবেন এখানে। তাই আপনাকে বোরিং feel করাবে না এর গেরেন্টি দিচ্ছি।

৪) প্রতিবারই নতুন কোনো Wallpaper আপনি পেয়ে যাবেন। তাই এ নিয়েই আপনাকে চিন্তা করতে হবে না।

৫) বিভিন্ন Widgets সেট করে রাখতে পারবেন হোম স্ক্রিনে। যা দিয়ে wallpaper change সহ অনেক কাজই করতে পারবেন।

অসাধারন একটি App। আপনারা যারা Wallaper প্রেমী রয়েছেন তারা অবশ্যই App টি Try করে দেখবেন।

 

13. Long Screenshot Taking :

অনেকের ফোনেই এই Feature টি রয়েছে। আবার অনেকের ফোনেই Default ভাবে এই Option টি থাকে না। তাই যাদের নেই তাদের জন্যে এই Feature টি নিয়ে লিখছি। যাদের ফোনে default ভাবে নেই তাদের একটি App এর প্রয়োজন পড়বে।

App Name : Screen Master

App Link (Pro Mod) : https://ift.tt/5Mh81IE

আমি App টির Pro Mod version এর লিংক দিয়েছি। এই App টির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনে যত বড় বা যত লম্বা ইচ্ছা Screenshot তুলতে পারবেন। Screenshot এর Quality ও Reduce বা খারাপ হবে না।

এখানে Auto Stitch এর একটি Option রয়েছে যার মাধ্যমে App টির Inbuilt AI আপনার তোলা সবগুলো Screenshot গুলোকে একসাথে করে একটি লম্বা Screenshot এ পরিণত করে।

এর ফলে এখন থেকে আপনাকে আর একটি লম্বা পোস্ট বা Page এর অনেকগুলো Screenshot তুলতে হবে না। ফলে আপনার Memory Space ও বেচে যাবে।

 

14. Quick Cursor :

App Link : https://ift.tt/oY4kVgi

App Link : https://ift.tt/UGP7QYI

যারা Android Tab বা বড় স্ক্রিনের মোবাইল ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে এই App টি কাজে লাগবে। এই App এর মাধ্যমে আপনি কম্পিউটারের মতো একটি Mouse Pad ও Cursor পাবেন।

এই Cursor টি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি বড় স্ক্রিনের মোবাইল বা Tab এর ঐ অংশগুলো ব্যবহার করতে পারবেন খুবই সহজেই যা আপনার জন্যে কষ্টসাধ্য হতো।

আপনি চাইলে Cursor টিকে Completely Customize করতে পারবেন। যারা একটু Lazy Type এর মানুষজন রয়েছেন তাদের জন্যে খুবই কাজে দিবে এই App টি।

 

15. Volume Button / Volume Bar Customization :

 

এগুলোর জন্যে আপনার App এর প্রয়োজন পড়বে। প্রতিটি App এর কাজই আলাদা। যেটি ইচ্ছা Install করতে পারেন। আমি Link দিয়ে দিচ্ছি।

App Links :

1) https://ift.tt/pvkBxfI

2) https://ift.tt/vCPNlVm

3) https://ift.tt/CDAX7hi

 

আপনার ফোনের Volume Bar Pannel কে বিভিন্ন রঙে, বিভিন্ন Style এ সাজাতে বা Customize করতে পারবেন এই App গুলোর মাধ্যমে।

Android 8, ANDROID 10, Android 12, IOS, ONE UI 2,3,4, RGB, WAVE, MIUI, COLOR OS, EMUI, PARANOID, ANDROID ALT, REALMEUI, বিভিন্ন Style এ Volume Bar Set করে ব্যবহার করতে পারবেন (আপনার যেভাবে ইচ্ছা)।

এখানে প্রচুর Skins, Styles, Colours পেয়ে যাবেন। আপনার ইচ্ছামতো সাজিয়ে নিতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের Default Volume Bar কে যতবার যেমন ইচ্ছা পাল্টাতে পারবেন নিজের খেয়ালখুশিমতো।

 

16. Super Status Bar :

App Link : https://ift.tt/mzWMG8N

আপনার Status Bar / Notch / Front Camera এর Side গুলোকে বিভিন্ন Gestures হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

যেমন একটি উদাহারনের সাহায্যে বোঝানো যাক। আপনার ফোনের Front Camera এর দিকে Sensor রয়েছে। সেখানে Double/Single Tap এর মাধ্যমে আপনি ফোনের Screen Lock করতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, Single Tap বা Double Tap এর মাধ্যমে Screen Off, open app, open shortcut, screenshot, split screen, power off dialog, back key, home key, recent key, flashlight, toggle rotation, toggle do no disturb,

expand notifications, expand quick settings, set brightness, set media volume, set ring volume, set notification volume, set alarm volume, set voice call volume সব করতে পারবেন।

শুধু single tap / double tap ই নয়, আপনি চাইলে long press, swipe left, swipe right, quick expand ইত্যাদির মাধ্যমে সব কিছুই Control করতে পারবেন।

 

17. Temp Mail :

এটি কোনো Feature Related কিছু না। তবে এটিকে Trick হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তার আগে App Link টি দিয়ে দিই।

App Link : https://ift.tt/GXFzD9T

এই App টির মাধ্যমে আপনি যত ইচ্ছা Temporary Mail ব্যবহার করতে পারবেন। যারা যানেন না Temporary Mail কি তাদের উদ্দেশ্যে বলছিঃ Temporary Mail হচ্ছে Gmail এর মতোই Mail যা কিছুক্ষন (কয়েক মিনিট বা ঘন্টার) জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।

এর মাধ্যমে আপনি সন্দেহজনক কোনো Website বা App এ আপনার Personal Mail ছাড়া Log in করতে পারবেন। এর ফলে আপনার Personal Main Mail যেন কোনো Sequrity Risk বা Hacking এর কবলে যেন না পড়ে সেই কারনেই এই Temp Mail এর ব্যবহার করা।

এখানে Inbox রয়েছে। যার ফলে আপনি চাইলে এই Temporary Mail এ কোনো Mail আসলে Check করতে পারবেন।

এই Trick টি Follow করে আপনি আপনার ব্যক্তিগত Mail কে অনেকক্ষেত্রেই বাচাতে পারবেন।

 

18. Music Visualizer :

এর জন্যে আপনাকে দুটি App এর প্রয়োজন পড়বে। App দুটির Link দিয়ে দিচ্ছিঃ

1) https://ift.tt/O43VLea

2) https://ift.tt/lXjhHnD

তো এই দুটি App এর কাজ কি?

এই এপ্লিকেশনটির মাধ্যমে আপনি আপনার Navigation bar এ অনেক রকমের Visualizer সেট করতে পারবেন। আপনি অনেক রকমের Options পাবেন কাস্টমাইজ করার জন্যে। কাস্টমাইজেশন লাভাররা অবশ্যই একবার হলেও ট্রাই করে দেখবেন।

কিভাবে ব্যবহার করবেন?

1) App Install করুন
2) Open করুন
3) Permission গুলো Allow করে দিন।
4) ব্যাস! আপনার কাজ শেষ। এবার যে স্টাইলে ব্যবহার করতে চান সেটা খুজে সিলেক্ট করুন আর ব্যবহার করুন।

আপনার Navigation Bar কে (যেখানে Back, Recent, Home Key গুলো থাকে) ইচ্ছামতো Customize করতে পারবেন। যখনই কোনো Audio Play করবেন আপনার ফোনে হোক সেটা YouTube বা Music তখনই এই সুন্দর সুন্দর Visualizer গুলো দেখতে পারবেন।

২য় App টির মাধ্যমে আপনার ফোনের স্ক্রিনের দুই পাশে Visualizer দেখতে পারবেন যা দেখতে আরো অনেক সুন্দর লাগে। যারা customisation lover রয়েছেন তারা এই App টি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

এখন আমি দুটি এমন App এর কথা বলবো যেগুলো একটু ভিন্ন রকমের স্বাদ দিবে আপনাকে।

19. Windows 98 Simulator :

App Link : https://ift.tt/UBLvl8s

 

যারা Windows 98 ব্যবহার করেছেন তাদেরকে Nostalgia Feel করাবে এই App টি। এর মাধ্যমে আপনি পুরো Windows 98 এর Feel পাবেন।

App টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে তাই শেয়ার করলাম। খুব ভালোভাবেই কাজ করেছে আমার কাছে। তাই যারা মোবাইলে কম্পিউটারের হাল্কা পাতলা স্বাদ (দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো আরকি 😂) চান তারা এই App টি ব্যবহার করতে পারেন।

 

20. MUBERT – AI MUSIC STREAMING :

APP LINK : https://ift.tt/oxlR5ua

 

এটি একটি Interesting একটি App। এটি একটি AI Music App। এখানে আপনি অজস্র Music & Artist দের পেয়ে যাবেন যাদের Music গুলোকে AI নিজে নিজে Mix করে নতুন ধরনের Music তৈরি করতে পারে।

আপনি চাইলে এই AI এর মাধ্যমে নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের Music তৈরি করে শুনতে পারবেন। খুবই Interesting একটি app।

 

তো এই ছিল আমাদের ২০ টি Customisation, Tips, Tricks & Hacks। ভালো লাগলে জানাবেন।
দেখা হবে ইনশাল্লাহ পরের কোনো পোস্টে।
ধন্যবাদ।
THIS IS 4HS4N
LOGGING OUT….

The post ২০ টি দারুন Android Customization Tips, Tricks & Hacks! appeared first on Trickbd.com.



from Trickbd.com https://ift.tt/rFole9C
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post