দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে অজানা তথ্য জেনে নিন

সবাই কেমন আছেন 🇧🇩বাংলাদেশের নাম মহাআকাশে লেখার পর এবার বাংলাদেশ পারমানবিক শক্তিধর দেশের মদ্ধে নাম লিখাতে চলছে সবাই হয়ত জানেন বাংলাদেশ পারমানবিক শক্তির মাদ্ধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চলছে আর প্রথম পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হিসেবে রূপপূর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এর যাত্রা শুরু, পূরোদমে কাজ চলছে এই পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি

বাংলাদেশের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের দেশে বিদ্যুতের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। দেশের এই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনোই বিকল্প নেই। এশিয়ার বেশির ভাগ জনবহুল দেশ যেমন চীন, ভারত, কোরিয়াসহ আরও অনেক দেশ এর প্রয়োজনীয়তা আগেই টের পেয়েছে এবং পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে ও করছে। আমরাও আর পিছিয়ে নেই। বিদ্যুৎ একটি দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে বিদ্যুতের সম্পর্ক খুব ওতপ্রোত হলেও জনসংখ্যার মাত্র ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ সেবা পান। তবেও তা নিরবচ্ছিন্ন নয়। গ্রামাঞ্চলে এর অবস্থা আরও প্রকট। এ অসহনীয় পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা হলে যেকোনো নাগরিকেরই খুশি হওয়ার কথা।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? আর কতটুকুই বা নিরাপদ? জাপানের ফুকুশিমা আর চেরনোবিল দুর্ঘটনার পরে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনে এই প্রশ্নটি আসাটাই স্বাভাবিক। সাধারণ নাগরিকের ভয় পারমাণবিক শক্তির ব্যবহারের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে। বাংলাদেশের সর্বোত্তম নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই রাশিয়া তাদের সর্বশেষ আধুনিক প্রযুক্তি ভিভিইআর ১২০০ (VVER 1200) মডেলটি আমাদের দিচ্ছে।

VVER-1200 model এর ডিজাইন

বিশ্বের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলো মাথায় রেখেই রাশিয়া তার সর্বশেষ মডেলের আধুনিকায়ন করে। আর তাই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই বাস্তবায়িত হচ্ছে রূপপুর প্রকল্প। রাশিয়ার অভ্যন্তরেই নবোভরনেজ ও লেনিনগ্রাদে ভিভিইআর ১২০০ (VVER 1200) মডেলটি চালু করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ভবিষ্যতে তুরস্ক ও ফিনল্যান্ডসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশে এটি ব্যবহার করা হবে। বরং আমাদের জন্য খুশির খবর আমরা রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তিটি গ্রহণ করছি।
এমনকি রাশিয়ার তরফ থেকে বলা হয়েছে এটি বিমান হামলা থেকেও রক্ষা পেতে সক্ষম। পৃথিবীতে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় তার সিংহভাগ উৎপাদন করে আরেভা ফ্রান্স। আর এর পরেই আছে রাশিয়ার রোসাটম। জনবহুল দেশের কথা মাথায় রেখেই সম্পূর্ণ নিরাপত্তা সংবলিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হবে বাংলাদেশে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। অনেকের ধারণা এই সব বর্জ্য বাংলাদেশের কোনো এক অংশে মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে এই কাজ করাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাংলাদেশের জন্য কঠিন এই কাজটির দায়িত্ব নিয়েছে রাশিয়া। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ইউরেনিয়ামের বর্জ্য রাশিয়া তাদের নিজেদের তদারকিতে রাশিয়ায় ফেরত নিয়ে যাবে। আর নিরাপদ ও নির্ভরশীলতার ব্যাপারে রাশিয়ার বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো আন্তর্জাতিক মান নির্ণয়কারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (IAEA) মান অনুযায়ীই তৈরি করা হয়েছে। তাই আমাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। রাশিয়াকে উন্নত পরমাণু শক্তির পথিকৃৎ বলা হয়ে থাকে এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার পরের কয়েক বছর প্রকল্পটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাশিয়া সাহায্য সহযোগিতা করবে। কিন্তু সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশে আমরা আমাদের পারমানবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে এদেশকে শক্তিশালী উন্নত বিশ্বে সাথে তাল মিলিয়ে চলব আর হ্যা বলতে ভূলেই গেছি দ্বিতীয় পারমানবিক বিদ্যুৎ হিসেবে বরিশালে হতে চলছে দ্বিতীয় পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের
যাই হোক সবাই ভালো থাকবেন পরের পোষ্ট এ কি ভাবে পারমানবিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে তা নিয়ে পোষ্ট করব খোদা হাফেজ

The post দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে অজানা তথ্য জেনে নিন appeared first on Trickbd.com.



from Trickbd.com http://bit.ly/2Tp8mSc
إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم